বাপার সম্মেলন ১৭-১৮ জানুয়ারি
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৫-০১-২০২৫ ০৩:২৬:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৫-০১-২০২৫ ০৩:২৬:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) কর্তৃক দেশের পরিবেশ সম্পর্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের সঙ্গে আয়োজিত বিশেষ সম্মেলন ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘বাপার ২৫ বছর : পরিবেশ আন্দোলনের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয় জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আজ থেকে ২৫ বছর আগে ২০০০ সালের ১৩-১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের পরিবেশ বিষয়ক অত্যন্ত সফল আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পটভূমিতে সে বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের পরিবেশ সপক্ষ সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গঠিত হয়েছিল। স্বঅর্থায়ন এবং স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এবং স্ববাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাপা একটি অন্যান্য সংগঠন। বাপা পরিবেশ সমস্যার সমাধানে জ্ঞান এবং সামাজিক সক্রিয়তার সম্মিলনের উপর জোর দেয়। বাপা দলীয় রাজনীতি পরিহার করে, কিন্তু পরিবেশ সমস্যার সমাধানে সব রাজনৈতিক দলকে উৎসাহিত করে। বাপা সরকারের ভুল নীতির সমালোচনা করে এবং সঠিক নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
তারা বলেন, আগামী ১৭-১৮ জানুয়ারির সম্মেলন বাপার ২৫ বছরের কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা করা হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য লক্ষ্য এবং কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে একটি প্রবন্ধ আপনাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। বাপার কর্মকাণ্ড মূলত দুই ধারায় অগ্রসর হয়েছে। একটি হলো পরিবেশ সমস্যা নিয়ে গবেষণা এবং সুপারিশ প্রণয়ন। যার অন্যতই হলো আন্দোলন, যাতে সেসব সুপারিশ গৃহীত এবং বাস্তবায়িত হয়।
বক্তারা বলেন, পরিবেশ বিষয়ক জ্ঞান বিকাশের ক্ষেত্রে বাপার সাফল্য বিপুল। প্রতি বছর পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং সম্মেলনে পরিবেশিত প্রবন্ধাবলি, আলোচনা এবং তার ভিত্তিতে গৃহীত প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করে পুস্তক প্রকাশ বাপার কাজের বিরাট সাফল্য। এর ফলে বাংলাদেশের পরিবেশ নিয়ে যে জ্ঞানভাণ্ডার বাপা সৃষ্টি হয়েছে তার তুলনা পাওয়া ভার। দেশের গবেষকদের জন্য তা সহায়ক হচ্ছে।
আয়োজকরা বলেন, আন্দোলন এবং বাস্তবে পরিবেশ সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রেও বাপার সাফল্য প্রচুর। প্রথম বছরগুলোর আন্দোলনের ফলে বাপা দুই স্ট্রোক বিশিষ্ট যানের অপসারণ, সিসাযুক্ত গ্যাসোলিনের অবসান এবং পলিথিন ব্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়। তারপর থেকে বাপা-বেন দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সংগ্রামের সূচনা করে, তার মধ্যে অন্যতম হলো দেশে নদী আন্দোলনের সূচনা। এর ফলে দেশের নদী রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে, সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হয়েছে এবং সমাজের বিভিন্ন অংশকে মবিলাইজ করা সম্ভব হয়েছে। বাপার এই কার্যক্রমের ফলে বড়াল নদীর আংশিক অবমুক্তি সম্ভব হয়েছে, বানিশান্তার কৃষিজমি রক্ষা পেয়েছে।
তারা বলেন, আগামীতে বাপা এই কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চায়। সে লক্ষ্যে বাপা সবার সহযোগিতা চায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বঅর্থায়ন এবং স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালনা একটি কঠিন কাজ। এটা অনেকটা উজানে নৌকা বাওয়ার মতো। এটা করতে গিয়ে বাপাকে অনেক বাধাবিপত্তিরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও বাপা এগিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক মেহের বিশ্বাস, ফরিদুল ইসলাম, হুমায়ন কবির সুমন, অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স